সিলেট ৬ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ইং | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ | ৯ই রবিউস-সানি, ১৪৪১ হিজরী
প্রকাশিত: 11:48 PM, November 2, 2019
যান্ত্রিকতার যুগে এখন দেখা মেলে না গরুর গাড়ির
শেখ ফরিদঃ
ওকি গাড়িয়াল ভাই,কতই রব আমি পন্থের দিকে চায়ারে।একসময় এই গান গেয়ে গাড়ির যাত্রিদের মনোরঞ্জন করতো গরুর গাড়ির চলকরা।আজ পথের দিকে চেয়ে থাকলেও দেখা মেলা দায় সেই গরুর গাড়ির।
খুব বেশী আগের কথা নয়।দুই বা তিন যুগ আগেও গ্রামাঞ্চলের রাস্তায় দেখা মিলতো সাড়ি সাড়ি গরুর গাড়ির।গ্রামের মানুষের যাতায়াত,মালামাল বহন ইত্যাদির জন্য গরুর গাড়িই ছিলো প্রধান বাহন।বিয়ের সময় বর কনের বাড়িতে যাতায়াতের একমাত্র বাহন ছিলো। গ্রামের আঁকাবাকা পথে এই গরুর গাড়িতে করেই নাইওর যেত বধুরা।
এখন আর সে দৃশ্য চোখে পড়েনা।যান্ত্রিকতার এই যুগে বদলে গেছে যেনো সবকিছু।আধুনিকতার ছোয়ায় বিলুপ্ত প্রায় ঐতিহ্যবাহী সেই গরুর গাড়ী।শহর অঞ্চলতো দুরের কথা গ্রামের ছেলেমেয়েরাও এখন গরুর গাড়ি দেখে কিনা সন্দেহ।
এ গাড়ির ব্যবহার বহু প্রাচীন।খৃষ্টের জন্মের ৩১০০ বছর পূর্বে ব্রোঞ্জ যুগেও গরুর গাড়ির অস্তিত্বের প্রামাণ মেলে ফ্রান্সের পাতান অঞ্চলে আল্পস পর্বতের উপত্যকার একটি গুহায় গরুর গাড়ির ছবি থেকে।
সিন্ধু অববাহিকা ও ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে খৃষ্টপূর্ব ১৫০০-১৬০০ সালে গরুর প্রচলন শুরু হয় বলে বিশেজ্ঞরা মনে করেন।পরে ধীরে ধীরে তা দক্ষিণ অঞ্চলেও ছড়িয়ে পরে।
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একসময়ের প্রধান বাহন এখন বিলুপ্ত প্রায়।হয়তো হঠাৎ কোনদিন চোখে পরে পুরোনো ঐতিয্যের এই গরুর গাড়ি।তবে আগের মত নেই সড়কে গাড়ির চাকার সেই দাগ।এখন সে সবই হয়ে যাবে ইতিহাস।
আর হয়তো কেউ গরুর গাড়িতে বসে গাইবেনা,ওকি গাড়িয়াল ভাই,হাকাও গাড়ি তুই চিলমারীর পথে।
Design and developed by Ahmed Shaheen